একটি বাইক বাইকারদের কাছে স্বপ্নের চেয়ে কম নয়। আমাদের বাইকরা প্রতিনিয়ত বাইক নিয়ে বিভিন্ন রাইডিং এবং ট্রিপে বেড়িয়ে থাকেন। বিভিন্ন যাত্রাপথে তাদের খরচ হয় বেশ বড় ধরনের জ্বালানী। বাইকের তেল খরচ কমানো নিয়ে তাই বাইকারদের ভাবনার শেষ নেই। আজ মোটরসাইকেলের জ্বালানি সাশ্রয়ের ৫টি উপায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু বিষয় আলোচনা করা হলোঃ
সূচীপত্র
১। উৎকৃষ্ট জ্বালানি ব্যবহার
জ্বালানীর বড় একটি খাতে প্রশ্ন উঠে বাইকের জ্বালানী কতটা নিরাপদ কিংবা বিশুদ্ধ? কম খরচে বাইক চালাতে গিয়ে আপনি ব্যবহার করছেন নোংরা তেল কিংবা জ্বালানী। এর ফলে আপনার ইঞ্জিনের গতি এবং স্বাস্থ্য দুইটি দিকই ঝুঁকছে বাইকের কর্মক্ষমতা হারানোর পথে। অথচ নোংরা জ্বালানী আপনার ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট।
২। কার্বুরেটর পরিষ্কার ও টিউন করে রাখুন
আপনি জানেন কি ইঞ্জিনে তেল প্রবেশের আগে কার্বুরেটরেই প্রথম বাতাসের সাথে মিশে যায়। আর এই তেল ও বাতাস বিশেষ মিশ্রণ আপনার বাইকের ইঞ্জিনের গিয়ে কাজ করে এবং বাইক চালানোর শক্তি উৎপন্ন হয়। তেল কতটুকু ব্যবহার হবে তা কার্বুরেটরে নির্ধারণ করে থাকেন।
৩। এয়ার ফিল্টার পরিচ্ছন্ন রাখুন
এয়ার ফিল্টারকে আপনার বাইকের ফুস্ফুস বললে ভুল হবে না। আপনার বাইকের কার্বুরেটরে সঠিক পরিমাণে বাতাস সরবরাহ করার জন্য এয়ার ফিল্টার বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে ময়লা জমলে বাইকের জন্য ক্ষতি হয় ব্যাপক। এর ফলে ইঞ্জিনের জ্বলানী মাত্রায় পোড়াতে পারেনা। এছাড়াও এতে ময়লা জমলে বাতাসের পরিমাণে গন্ডগোল হয়।
৪। চেইনের যত্ন নিন
আপনি হয়তো ভাবছেন চেইনের সাথে তেলের খরচ কমানোর কি সম্পর্ক? আসল কথা হলো বাইকের স্পিড বা গতি নির্ভর করে চেইনের উপর। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চেইন আপনার বাইকের স্পিড ভালো রাখে। ফলে বাইকের তেলের খরচ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫। নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং
বাইকের তেল খরচ কমাতে পারে বাইকের নিয়মিত সার্ভিসিং। সাধারণত বাইক দেখতে ছোট মনে হলেও এতে বিভিন্ন রকম অটো পার্টস দেখা যায়। এসব পার্টস নষ্ট হলে বাইকের ক্ষতি হয় সাথে সাথে দেখা যায় জ্বালানী নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা। তাই নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং করানো ভাবনা মাথায় রাখতে হবে।
শেষকথা
বাইক যেই মডেলেরই হোক না কেন, আমরা আশা করি পছন্দের বাইক সব সময় যত্নে থাকবে। পাশাপাশি বাইকের পেছনে হওয়া খরচ সমূহ যেন যথার্থ হয়। আশাকরি উপরের বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হলে তেল খরচ কম হবে। মোটরসাইকেলের বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিক্স জানতে ভিজিট করুন এই লিংক।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।