অবশেষে বাইকারদের অপেক্ষার দিন শেষ। কারণ মোটরসাইকেল ইন্ড্রাস্ট্রিতে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়। সম্প্রতি ৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বাইকপ্রেমীদের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল। অবশেষে সবাইকে চমকে দিয়ে ৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল আসতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন কোন ব্র্যান্ডের বাইক আসতে পারে? এই আর্টিকেলে আমরা জনপ্রিয় কিছু ৩৫০ সিসি’র বাইক নিয়ে আলোচনা করব যা বাংলাদেশে আসার সম্ভবনা অনেক বেশি। তবে শুরুতেই জেনে নিব ৩৫০ সিসি বাইক অনুমোদন সম্পর্কে।
সূচীপত্র
৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমোদন
এতদিন সাধারণ রাস্তায় ১৬৫ সিসি পর্যন্তই বাইক চালানোর অনুমোদিত ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সুনামধন্য বাইক কোম্পানি পাশাপাশি সাধারণ বাইকারদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ৩৫০ সিসি (ইঞ্জিন ক্ষমতা) পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুমতি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের পরিবেশক ও উৎপাদন অংশীদার এসিআই মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারি।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে এ ধরণের মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় আমদানি করা যাবে না। শুধু বিদেশ থেকে বিযুক্ত অবস্থায় (সিকেডি) আমদানি করে দেশের কারখানায় সংযোজন করে বাজারজাত করা যাবে।
আসতে পারে যেসব ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল
ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন ৩৫০ সিসি বাইক অনুমোদনের ব্যাপারে। বুঝতেই পারছেন মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলো কাজ শুরু করেছে দ্রুত দেশের বাজারে। বুঝতেই পারছেন এখন নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো দেশের বাজারে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল আনার চেষ্টা করছে। আসুন দেখে নেই ৩৫০ সিসির যে বাইক গুলো বাংলাদেশে আসতে পারে তার সম্পর্কে।
Runner
সিসি সীমা বাড়লে যে বাইকগুলো আসবে তার মধ্যে শুরুতেই বাংলাদেশি ব্র্যান্ড রানার নিয়ে কথা বলতেই হয়। বাইক প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক দিন ধরে প্রতিবেশী দেশ নেপালে উচ্চ সিসি’র বাইক সরবরাহ করে যাচ্ছে। ৩৫০ সিসি’র অনুমোদন দেওয়া পর দেশের বাজারে মোটরসাইকেল সরবরাহ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা আশাকরি রানারের উচ্চ সিসি’র বাইক গুলোর মধ্যে Runner Hawk 200 এবং Runner Dominator এই দুটি বাইক আমাদের আমাদের দিতে সক্ষম হবে।
BMW
সিসি সীমা বাড়লে যে বাইকগুলো আসবে তার মধ্যে শুরুতেই বাংলাদেশি ব্র্যান্ড রানার নিয়ে কথা বলতেই হয়। বাইক প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক দিন ধরে প্রতিবেশী দেশ নেপালে উচ্চ সিসি’র বাইক সরবরাহ করে যাচ্ছে। ৩৫০ সিসি’র অনুমোদন দেওয়া পর দেশের বাজারে মোটরসাইকেল সরবরাহ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা আশাকরি রানারের উচ্চ সিসি’র বাইক গুলোর মধ্যে Runner Hawk 200 এবং Runner Dominator এই দুটি বাইক আমাদের আমাদের দিতে সক্ষম হবে।
এই বাইকটির বেশ সুনাম রয়েছে ডিজাইন ও ভালো মানের কারনে। আমাদের দেশের অনেকেই হয়তো ভেবেছিল বাংলাদেশে BMW বাইক হয়তো কখনো দেখা যাবেনা, সবকিছু ঠিক থাকলে আশাকরি BMW Motorrad আমাদের চমকে দিতে পারে। যেহেতু কোম্পানি বিশ্বব্যাপী মোটরসাইকেল সাপ্লাই দিয়ে থাকে আর বাংলাদেশেও সিসি সীমা বেড়েছে তাই আমরা আশাকরি ৩৫০ সিসি’র মধ্যে BMW G310R এবং BMW G310 GS এই দুটি বাইক দেখা যেতে পারে।
Royal Enfield
মোটরসাইকেল শিল্পে রয়্যাল এনফিল্ড সব বয়সের চালকদের আগ্রহের কেন্দ্র। রয়্যাল এনফিল্ড ব্রিটিশ কোম্পানি দ্য এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি লিমিটেডের রেডডিচ, ওরচেস্টারশায়ারের মালিকানাধীন।বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বাইক রয়েছে। তবে এইসব গুলোর মাঝে রয়েল এনফিল্ড এর তিনটি মোটরসাইকেল রয়েছে ৩৫০ সিসি ক্যাটাগরিতে। এই তিনটি হচ্ছে Royal Enfield Meteor 350, Royal Enfield Bullet 350 এবং Royal Enfield Classic 350 । এই বাইকগুলো লুক-ডিজাইন সব কিছু মিলিয়ে অসাধারণ।
Jawa
ভারতীয় আইকনিক মোটসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে জাওয়া অন্যতম। এই কোম্পানির বাইকের লাইনআপ নিয়ে বেশ সুনাম আছে। সিসি বৃদ্ধি পেলে জাওয়া সিরিজের তিনটি বাইক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে, Jawa Perak, Jawa 42। এইগুলো বাইকগুলো বাংলাদেশের বাজার আসার জন্য প্রায় প্রস্তুত বলা যায়।
Benelli
বেনেলি একটি বিখ্যাত ইতালীয় টু-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারার ব্র্যান্ড। বেনেলি বাইকের বিভিন্ন পার্টস চায়না থেকে সংগ্রহ করা হলেও এর অরিজিন ইটালিকেই ধরা হয়। বেনেলি বাইকারদের স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক বাইক উপহার দেয়। ৩৫০ সিসি অনুমোদনে এই কোম্পানির Benelli TNT 200 এবং Benelli TNT 300, Benelli 302R, Benelli 302S নামক বাইকগুলো বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
Bajaj
বাইকের দাম এবং ভালো পারফরম্যন্সের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলে বাজাজ সব সময় আমাদের সাথে থাকে। এই কোম্পানির বাইকগুলো দেশের বাজারে বড় ধরনের অংশ দখল করে আছে। বাজাজের বাইকগুলো কম তেলে দীর্ঘ পথ যায় অর্থাৎ দারুণ মাইলেজ দেয়। দেশে ৩৫০ সিসি অনুমোদনে এই কোম্পানির Triumph Bajaj 350 বাইকটি দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
Kawasaki
গতি এবং দ্রুততম চলমান মোটরসাইকেলগুলোর মধে কাওয়াসাকি অন্যতম। বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকের চাহিদা অনেক বেশি বললে ভুল হবে না। জাপানিজ বাইক কোম্পানিগুলোর মধ্যে এদের নাম এবং চাহিদা প্রথম সারিতে। ৩৫০ সিসি বাইকের অনুমোদনে আমাদের কাছে তাঁদের সবগুলো সুপার বাইক না আসলেও Kawasaki Ninja 250, Kawasaki Ninja 300, এবং Kawasaki Ninja ZX-25 ধরনের বাইকগুলো আসার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
TVS
গতি এবং দ্রুততম চলমান মোটরসাইকেলগুলোর মধে কাওয়াসাকি অন্যতম। বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকের চাহিদা অনেক বেশি বললে ভুল হবে না। জাপানিজ বাইক কোম্পানিগুলোর মধ্যে এদের নাম এবং চাহিদা প্রথম সারিতে। ৩৫০ সিসি বাইকের অনুমোদনে আমাদের কাছে তাঁদের সবগুলো সুপার বাইক না আসলেও Kawasaki Ninja 250, Kawasaki Ninja 300, এবং Kawasaki Ninja ZX-25 ধরনের বাইকগুলো আসার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
GPX
আমাদের দেশের রাস্তায় কয়েক বছর আগেও, জিপিএক্স এর বাইকগুলো দেখা গিয়েছিল, তবে কিছু কারণে সেগুলি আর পরবর্তীতে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। বাইকের CC সীমা বাড়ানো সাথে সাথে , জিপিক্স তাদের যাত্রা GPX Demon GR 200R এর মতো কিছু বাইকের যুক্ত করতে পারে। চাহিদা অনুসারে হয়তো তাঁদের অন্য সিরিজের বাইক আনার সম্ভাবনাও রয়েছে।
FAQs
মোটরসাইকেলের সিসি কি?
কিউবিক ক্যাপাসিটি বা বাইকের সিসি হল ইঞ্জিনের পাওয়ার আউটপুট। কিউবিক ক্যাপাসিটির আরেকটি অর্থ হল বাইকের ইঞ্জিনের চেম্বারের পরিমাণ। ক্ষমতা যত বেশি, পাওয়ার উৎপাদনের জন্য কমপ্রেসড বায়ু এবং জ্বালানি মিশ্রণের পরিমাণ তত বেশি।
বেশি সিসি মানেই কি বেশি গতি?
বাইকের সিসি বাড়বে মানে হচ্ছে ,বাইকের গতি বাড়বে – এ ধারণাটি একেবারেই ভুল। ৩৫০ সিসি বাইকে যে সেফটি ফিচার দেয়া আছে, সেটিতে যে ব্রেকিং সিস্টেম দেয়া আছে, সেটি দিয়ে কোনো বাইকার যখন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চালাবেন, তখন সেই বাইকারের সেফটি কিন্তু অনেক বেশি থাকবে।
শেষকথা
বাইকের সিসি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় সমান্তরাল। আমাদের দেশের বাইকচালকরা বাইক চালানোর সময় সকল ধরনের সাবধানতাই ভুলে যায়। এমনকি সামান্য হেলম্যাট ব্যবহারেও অনেকের খামখেয়ালি আচরণ দেখা যায়। তাই সিসি যতই বাড়ুক সাথে থাকুক নিরাপত্তা এবং মান্যতা হোক সকল ধরনের সাবধানতার।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।
I wanted to thank you for this very good read!! I absolutely enjoyed every little bit of it. I have you saved as a favorite to look at new things you.
Thank you so much for your kind words! If you have any specific topics about bikes you’d like to see covered, feel free to let me know. Happy reading!