মোটরসাইকেল চুরি ঠেকানোর ৬টি কৌশল!

আমাদের শখের বাহনগুলোর মধ্য মোটরবাইক অন্যতম। স্কুল কলেজ থেকে একদম চাকুরীজীবী পর্যন্ত সব ধরনের মানুষের মাঝেই মোটরবাইক ব্যবহারের প্রবনতা দেখা যায়। দেশে দিনে দিনে মোটরবাইক ব্যবহারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে মোটরবাইক চুরি হওয়ার সংখ্যা। আজকের ব্লগটিতে আমরা মোটরসাইকেল ঠেকানোর ৬টি কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।

সূচীপত্র

মোটরসাইকেলের চুরি ঠেকাতে যা যা করণীয়

বাজারে বাইকের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের অত্যাধ্নিক লকার পাওয়া যায়। যদিও লকারের ব্যবহার বেশ পুরোন বিষয়, তবুও বেশ কিছু নতুন ধরনের লকার সিস্টেম আছে যা আপনার বাইকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আগের চেয়েও বেশি সুরক্ষার সাথে। বাইক সুরক্ষায় কয়েকটি লকারের মধ্যে রয়েছেঃ

বাইকের এক্সট্রা লকার

আপনি যদি বাইককে আরও বেশি প্রতিরক্ষার মাঝে রাখতে চান তবে আপনার বাইকের জন্য প্রয়োজন অথেনটিক এক্সট্রা লকার। সহজ ভাষায় বললে আপনাকে বাইকের জন্য মজবুত ধরনের তালা ব্যবহার করতে হবে। আর তালা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সস্তা তালা নির্বাচন না করাই ভালো। ভালো ব্রান্ডের বেশ কয়েকটি লকার ব্যবহার করতে পারেন। বেশি লকার ব্যবহারের অন্যতম একটি সুবিধা হলো। বাইক চোরের বাইক চুরি করার আগে লকার খুলতে খুলতেই অনেক সময় যাবে। তাই ভালো মানের এক্সট্রা লকার ব্যবহার করা উচিত।

ডিস্ক লক

বাইক লকের আরও একটু অন্যতম লকার হলো ডিস্ক লক। অনেকের মতে ডিস্ক লক নিরাপদ নয়। কারণ বাইক স্টার্ট দিয়ে জোরে টান দিলে ডিস্ক লক খুলে যায়। বাইকের ডিস্ক নির্বাচনে তাই ভালো ব্রান্ড নির্বাচন করা উচিত। আপনি চাইলে অনলাইনে ভালো মানের কিছু ডিস্ক লক দেখতে পারেন। আপনার রয়েগুলার ব্যবহারের বাইকে ডিস্ক লক ব্যবহার করুন।

জিপিএস ট্র্যাকার

মোটর বাইক সুরক্ষায় রাখতে আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো-”জিপিএস ট্র্যাকার”। জিপিএস ট্র্যাকার শুধুমাত্র বাইকের চুরিজনিত বিষয়গুলোতেই সুরক্ষা প্রদান করে না পাশাপাশি বাইক বিষয়ক আরও অনেক গুরুত্বপুর্ন সহায়তা করে। বাজারের বেশ কয়েক ধরনের বাইক জিপিএস ট্র্যাকার রয়েছে। আপনি চাইলে বাইকের জন্য এসব জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অনন্য যানবাহনে লাইভ ট্র্যাকিং করতে প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার ব্যাবহার করতে পারেন।

সুইচ লক

মোটর বাইকে সুইচ লক ব্যবহার করে আপনি বাইককে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। সাধারণত সুইচ লকগুলো বাইকের ইঞ্জিনের সাথে এমনভাবে যুক্ত করা থাকে যাতে বাইকের ইঞ্জিন সহজে অন-উফ করা যেতে পারে। সুইচ লকের সুইচটি হাইড করা অবস্থায় থাকে। বাইকের চালক সহজেই সুইচ লক ব্যবহার করে ইঞ্জিন অন অফ করতে পারবেন।

সিসি ক্যামেরার ব্যবহার

আপনার মোটর বাইক যে স্থানে পার্ক করা হয়, সে স্থানে প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করুন। পার্কিং লটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি চাইলে আধুনিক পার্কিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে পার্কিংয়ে স্মার্ট সেন্সর, ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এসব সেন্সর ব্যবহারে আপনার পার্কিং লট থাকে নিরাপদে এবং বাইক থাকবে নজরের আয়ত্তে।

সেন্সর সিস্টেম

আপনার বাইকে যদি আপনি সেন্সর সিস্টেম ব্যবহার করেন তবে আপনার বাইকের নিরাপত্তা আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে যাবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই ধরনের সেন্সর সিস্টেম থাকলে বাইক চোর আপনার মোটরসাইকেল সহজেই চালু পারবে না। যার ফলে মোটরসাইকেল চুরি আটকানো খুব সহজেই সম্ভব হবে।

মোটরসাইকেল চুরি হলে কি করবেন

আপনার শখের মোটরসাইকেলটি যে কোন সময়য়ে চুরি হতে পারে কিংবা ছিনতাই হতে পারে। কিংবা বাইকের যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। যে ক্ষেত্রে আপনার কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, নিম্নে এমন কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো।

  • হারানো মোটর সাইকেল ফেরত পেতে নিকটস্থ থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।
  • বাইকের দরকারি সব ধরনের কাগজপত্র যেমন—ক্রয়ের রশিদ, লাইসেন্স নম্বর,জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং বাইকের বাকিসব ডকুমেন্টস থানায় জমা দিতে হবে।
  • অফিসার আপনার অভিযোগ গ্রহণ করে একটি জিডি নম্বর দিবে এবং মোটরসাইকেল উদ্ধারের কাজ শুরু করে দিবে।
  • আপনার বাইকে যদি কোন জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করা থাকে তাহলে হারানো বাইকের খোঁজ সহজেই করা যাবে । জিপিএস ট্র্যাকারে আপনার বাইকের লাইভ লোকেশন চেক করে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব।
  • আপনার বাইক সর্বশেষ যে স্থান থেকে বাইক চুরি হয়েছে তাঁর আশেপাশে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা চেক করুন এবং বিষয়টির সত্যটা যাচাই করুন।

মোটরসাইকেলের বীমা

আমাদের দেশে খোলা রাস্তায় কিংবা পার্কিং লট থেকে মোটরসাইকেল চুরি খুবই পরিচিত একটি ব্যাপার। চুরি কিংবা অন্য যেকোন দুর্ঘটনার কারণে হতে পারে এমন ক্ষতির জন্য আর্থিক সুরক্ষা জরুরী। আর এই ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইনস্যুরেন্স করা বেশ গুরুত্বপূর্ণএকটি বিষয়। এতে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চুরি এবং দুর্ঘটনা জাতীয় বিষয়ের খতিপুরন দেওয়া হয়ে থাকে। দেশে বিভিন্ন ধরনের বীমা কোম্পানি এই সুবিধা দিয়ে থাকে।

শেষ কথা

শখের মোটরসাইকেলের প্রতি আমাদের কারো ভালোবাসার কমতি নেই। হোক তা ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করি কিংবা অফিসিয়াল কাজে। মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই উপরে দেওয়া বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার বাইকের ভ্রমণ শুভ হোক।

শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।

    মোটরসাইকেল সুরক্ষায় বাইকগার্ড সম্পর্কে জানতে




    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *