মোটর সাইকেল চালকদের জন্য ইঞ্জিন অয়েল কতটা গুরুত্ব রাখে তা বলে শেষ করা সম্ভব না। আপনার বাইক যতই দামি কিংবা ভালো ব্র্যান্ডের হোক না কেন ইঞ্জিন অয়েলের যথাযথ ব্যবহার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শখের মোটর সাইকেলকে আরো যত্নে রাখতে সেরা ৫ টি ইঞ্জিন অয়েল সম্পর্কে জানবেন আজকের এই ব্লগটিতে।
সূচীপত্র
ইঞ্জিন অয়েল কি?
ইঞ্জিন অয়েল হচ্ছে এক প্রকার তরল লুব্রিকেন্ট, যা ইঞ্জিনের অভ্যন্তরের ছোট ছোট পার্টসকে সচল রাখতে সহায়তা করে। বাইক যখন চলে, বাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের অতিরিক্ত ঘর্ষণ শুরু হয়। এই ঘর্ষণের ফলে ইঞ্জিনের পার্টসের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ক্ষয় প্রতিরোধে ইঞ্জিন অয়েল কাজ করে।
বাইকে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন কেন?
আমরা জানি আমাদের বাইকে প্রতিনিয়ত ফুয়েল বা জ্বালানি রিফিল করতে হয়। কারণ এই ফুয়েল বা জ্বালানী ছাড়া আমাদের বাইকটি অকেজো। এটি ছাড়া বাইকের ইঞ্জিন কাজ করবে না। সাধারণ নিয়ম অনুসারে আপনার বাইকটি যদি ৬০০-৭০০ কিমি পথ অতিক্রম করে তবে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হয়। বাইকের সার্ভিসিংও এই একই সময়ে করা হয়। আপনি যদি এই সময় সীমা না মেনে চলেন তবে কিছুদিন পরেই আপনার বাইক অকেজো হয়ে পড়বে।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বাইকের মূল জ্বালানী কি? আসলে বাইকে অনেক ধরনের জ্বালানী ব্যবহার করা হয়। তবে আপনার বাইকের ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখতে, কর্মক্ষমতা বাড়াতে, বাইকের ইঞ্জিন সুরক্ষাতে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে সেরা ৫টি ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড
আমাদের শখের বাইকের ইঞ্জিন সব সময় নিরাপদ এবং ত্রুটিহীন থাকুক তা আমরা সব সময় চাই। তাই আপনার বাইকের ইঞ্জিন সুরক্ষাতে ৫টি ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড বেছে নিতে পারেন। নিচে ব্র্যান্ডগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
১। Motul (মটুল)
এই ব্র্যান্ডটি সাধারণত লুব্রিকেন্ট অয়েল, হাই-পারফর্মিং মোটরসাইকেল ইঞ্জিন অয়েলের জন্য বিখ্যাত।আপনি যদি অফরোডে গাড়ি চালান কিংবা ট্র্যাক অনুসারে গাড়ি চালিয়ে থাকেন তবে এই ব্র্যান্ডটি খুব কার্যকর হিসেবে কাজ করে। এই ব্র্যান্ডটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ সহ্য করার জন্য বিশেষভাবে বানানো হয়েছে। এটি বেশ ভালোভাবে লুব্রিকেশন এবং ইঞ্জিন সুরক্ষা প্রদান করে। ইঞ্জিন পাওয়ার ক্যাপাসিটি স্বাভাবিক রাখার জন্য এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল চমকপ্রদভাবে কাজ করে। আপনি চাইলে অনলাইনে এই অয়েলের দাম এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ঘুরে আসতে পারেন।
২। Mobil (মবিল)
বাংআপনার বাইককে যদি বাড়তি সুরক্ষা এবং ইঞ্জিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করতে চান তবে MOBIL (মবিল) হবে প্রধান মাধ্যম। এটি প্রচলিত সব তেলের চেয়ে ইঞ্জিনের দ্বিগুণ সুরক্ষা প্রদান করে। বাজারে ভিন্ন ভিন্ন সব বাইকের জন্য এই কোম্পানি স্পেসিফিক ফর্মুলেটেড লুব্রিকেন্ট উৎপাদন করে। এমন কি এই ব্র্যান্ড আমাদের দেশে এতটাই জনপ্রিয় অনেক সাধারন মানুষ ইঞ্জিন অয়েলকে মবিল বলে সম্বোধন করেন। আপনি চাইলে অনলাইনে এই অয়েলের দাম এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ঘুরে আসতে পারেন।
৩। Castrol (ক্যাস্ট্রল)
এই ব্র্যান্ডটি রিলায়েবিলিটির জন্য বিখ্যাত। Castrol মূলত ব্রিটিশ লুব্রিকেন্ট কোম্পানি। ক্যাস্ট্রল কোম্পানি সকল ধরনের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল এবং লুব্রিকেন্ট বানিয়ে থাকে। এটি সাধারণ বাইক থেকে শুরু করে শুরু করে স্পোর্টস বাইকেও ব্যবহার করা যায়। আমাদের দেশের কমিউটার বাইক ব্যবহারকারীদের কাছে এই তেলটি বেশ জনপ্রিয়। আপনি চাইলে অনলাইনে এই অয়েলের দাম এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ঘুরে আসতে পারেন।
৪। Liqui Moly (লিকুই মলি)
এই প্রতিষ্ঠানটির তেলের চাহিদাও দিন দিন দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটির চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে কিছু সুবিধা রয়েছে। সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বালানী সাশ্রয়, বর্ধিত ইঞ্জিন পরিষেবা, দীর্ঘ সময় জুড়ে তেল পরিবর্তনের ঝামেলা এবং উত্তপ্ত ইঞ্জিনের প্রয়োজন অনুসারে শক্তি প্রদান করা। এই ব্র্যান্ডের অয়েলগুলো অফ-রোড এবং রেসিং টাইপ বাইকের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্পেশাল ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। আপনি চাইলে অনলাইনে এই অয়েলের দাম এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ঘুরে আসতে পারেন।
৫। Shell Advance Ultra 4T
বাইকারদের কাছে Shell Advance Ultra 4T একটি বিশ্বস্ত নাম। এই কোম্পানিটি বাজারে বেশ বড় ধরনের জায়গা জুড়ে আছে। এর পেছনে কারণ হল এরা সকল ধরনের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল প্রস্তুত করে। এটি আসলে এক ধরনের সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল। আপনি যদি চান আপনার বাইকের ইঞ্জিন স্মুথ রাখতে চান তবে এই অয়েলটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘন্টায় প্রায় ২২০০-২৫০০ কিলোমিটার ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে অনলাইনে এই অয়েলের দাম এবং বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ঘুরে আসতে পারেন।
শেষকথা
আপনার শখের বাইকের যত্নে আপনি প্রতিনিয়ত অনেক কিছুই করেন। তবে, বাইকের ইঞ্জিনের সুরক্ষায় ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচনে সর্তক হোন। আশা করি বাইকের জন্য সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচনে এই ব্লগটি আপনাকে সহায়তা করেছে। এতক্ষন সময় নিয়ে ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।