বাইকে দুনিয়ায় কেটিএম বাইক এর নাম শুনলে কার না রাইডিংয়ের ইচ্ছে জাগে। বাইকারদের পছন্দের তালিকায় এই মোটরসাইকেল শীর্ষে আছে। KTM হল একটি অস্ট্রিয়ান মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং মোটরস্পোর্টস ব্র্যান্ড যা ভারতীয় নির্মাতা বাজাজ অটো এবং অস্ট্রিয়ান নির্মাতা পিয়েরার মোবিলিটি এজি-এর সহ-মালিকানাধীন। এটি ১৯৩৪ সালে ক্রোনরিফ এবং ট্রঙ্কেনপোলজ ম্যাটিঘোফেন হিসাবে এর ভিত্তি চিহ্নিত করে।
বর্তমানে কেটিএম এজি এর ৪৬% এর মালিকানা রয়েছে CROSS KraftFahrZeug Holding GmbH এর কাছে, যেটি CROSS Industries AG এর একটি অঙ্গ সংগঠন। এবং, এর বাকি ৫২% বাজাজ অটো এর মালিকানাধীন। ভারতে, কেটিএম এর ৭৮% অংশ বাজাজ অটো এর মালিকানাধীন, এবং ২১% CROSS AG এর মালিকানাধীন। [তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া]
সূচীপত্র
সেরা ৫টি কেটিএম বাইক
ভারত কিংবা বাংলাদেশ দুইদেশের মানুষের মাঝেই কে টি এম বাইক নিয়ে কাজ করে চরম ফেসিনেশন কিংবা আগ্রহ। এর আরেকটি ভিন্ন কারণ হলো কে টি এম ব্র্যান্ড দুনিয়া জুড়ে চলা বিভিন্ন ধরনের বড় বড় রেসিং ইভেন্টে অংশ নেয়া অন্যতম বৃহত্তম একটি কোম্পানি। আসুন সেরা ৫টি কে টি এম মোটর সাইকেল সম্পর্কে জেনে নেই।
১। কেটিএম ডিউক ২০০
যদি বাইক প্রেমিকদের কাছে ভালো ডিজাইন এবং পারফর্মেন্সের বিচারে একটি বাইক বাছাই করতে দেওয়া হয়, তবে KTM Duke 200 হবে তাঁদের সেরা বাছাই। ডিউইক ২০০ বাইকটি ডিজাইনের জন্য যুবক ভাইদের সারা জাগিয়েছে। ২০০ সিসির এই বাইকের গতি যেমন সুন্দর তেমনি রয়েছে আকর্ষনীয় কিছু ফিচারস এবং সুবিধা। দামের কথা বললে এটির সাধ্যের মধ্যেই থাকে।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
- ২০০ সিসি ইঞ্জিন
- রয়েছে আধুনিক সুবিধাতে সাজানো ভালো মানের সাসপেনশন সিস্টেম
- স্পেশাল কাস্টমাইজড ডিজাইন বাইকটিকে করেছে আরও বেশি চমকপ্রদ
- ডিজিটাল ওডিও এবং স্পিড মিটার
- অ্যান্টি থেফট অ্যালার্ম
সুবিধাসমূহ
- আধুনিক গতিসম্পন্ন শক্তিশালী ইঞ্জিন
- বহুদূর রোমাঞ্চকর বাইক রাইডিংয়ের সুবিধা
- শহর কিংবা মফস্বল সব রাস্তায় চলার উপযোগী
- অসাধারণ ডিজাইনের ব্যবহার
- দুর্দান্ত কর্নারিং ক্ষমতা প্রদান করে
সীমাবদ্ধতা
- দাম অনেক উচ্চ মূল্যের হলেও এটিতে বেশ কিছু ফিচারের অভাব
- সহজেই দেশের সব স্থানে বাইকটি পাওয়া যায় না
- মাঝে মাঝে বাইকগুলো ওভার হিট হয়ে পড়ে
২। কেটিএম আরসি ৩৯০
এই বাইকটি রেসিং ভক্তদের পছন্দের সেরা তালিকায় আছে। কর্মদক্ষতার বিচারে এটির ইঞ্জিন অন্য সব সাধারণ বাইকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং এগিয়ে আছে। যারা বাইক রেইসিং করে অভ্যস্ত এটি তাঁদের জন্য একটি আকাঙ্ক্ষিত বাইক বলা চলে। কারণ এই ৩৯০ সিসিতে বাইক চলে সেই গতিতে। আপনি চাইলে সাধারণ রাস্তায় ও বাইকটি নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বৈশিষ্ট্য
- স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য উন্নত চ্যাসিসের ব্যবহার
- রেসিং বাইক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিজাইন করা হয়েছে
- প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য আদর্শ বাইক
সুবিধা
- যেকোন ধরনের রেসিংয়ে ব্যবহার করা যাবে
- সহজেই হ্যান্ডলিং ও সুন্দর কর্নারিং ক্ষমতা
- ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইনের ব্যবহার
অসুবিধা
- মাঝে মাঝে রুক্ষ রাস্তায় হার্ড ব্রেকে কঠোর অনুভূত হয়
- সব বয়সের মানুষের জন্য রাইডিং পজিশন আরামপ্রদ না
- মাঝে মাঝে বাইকগুলো ওভার হিট হয়ে পড়ে
৩। কেটিএম ডিউক ৭৯০
KTM Duke 790 প্যারালাল ইঞ্জিন নিয়ে অত্যাধুনিক ডিজাইনে সবার মন কেড়েছে। কর্মদক্ষতার বিচারেও এই বাইকটি সেরা। বাইকারদের মাঝে বাইকটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ এটির ইঞ্জিন পাওয়ার এবং ইজি হ্যান্ডেলিং সিস্টেম। বাইকটি নয়াভিরাম ডিজাইনের সাথে ইঞ্জিনের গতি রাইডারদের মাঝে আন্দোলন সৃষ্টি করেছে।
বৈশিষ্ট্য
- সুপার পাওয়ার উইথ প্যারালাল ইঞ্জিন
- সুন্দর রাইডিংয়ের জন্য লাইটওয়েট চ্যাসিস সুবিধা
- সুপার ট্র্যাকশন কন্ট্রোল রাইডিং
সুবিধা
- শক্তিশালী ত্বরণ এবং থ্রোটল প্রতিক্রিয়া
- বহুমুখী পারফরম্যান্স
- শহুরে যাতায়াত এবং রোমাঞ্চকর রাইড উভয়ের জন্য উপযুক্ত
- উন্নত ইলেকট্রনিক্স উন্নত রাইডিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে
অসুবিধা
- দাম অন্যসব বাইকের তুলনায় বেশি
- মাঝে মাঝে বাইকগুলো ওভার হিট হয়ে পড়ে
৪। কেটিএম ১২৯০ সুপার ডিউক আর
KTM 1290 Super Duke R বাইকটি শুধু মাত্র নামেই ডিউক নয়। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টাইলিং লুক্স এবং মনোমুগ্ধকর রাইডিং পারফরমেন্স। বাইকটিতে রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন যা উঁচু কিংবা নিচু সব পথের জন্যেই চমৎকার কাজ করে। আপনি যদি গতি সামলিয়ে রোমাঞ্চ চালিয়ে যেতে চান তবে আপনার তালিকায় এই বাইক আসবে সবার আগে।
বৈশিষ্ট্য
- এতে রয়েছে আকর্ষনীয় ভি-টুইন ইঞ্জিন
- কর্নারিং এবিএস হুইলি কন্ট্রোল ইলেকট্রনিক্স সুবিধা
- সাসপেনশনে রয়েছে উচ্চ মাত্রার কর্মক্ষমতা
- আধুনিক শক্তিশালী ইঞ্জিন
সুবিধা
- এক্সক্লুসিভ কার্বন ফাইবার বডি ওয়ার্ক
- লাইট ওয়েট লিথিয়াম আই ও এন ব্যাটারি
- গতি নিয়ন্ত্রণের সুবিধা
- ১ঃ১ পাওয়ার টু ওয়েট রেশিও
অসুবিধা
- দাম অনেকেরই হাতের নাগালের বাহিরে
- নতুনদের জন্য গতি নিয়ে ঝুঁকি থাকতে পারে
৫। কেটিএম আরসি ১২৫
আপনি যদি KTM সিরিজের বাইকের ভক্ত হয়ে থাকেন তবে KTM RC 125 এর একবার রাইডই যথেষ্ট! অন্যসব বিষয় বাদ দিলেও এই বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম খুব নজর কেড়েছে বাইকারদের। আবার রাইডিং পজিশনেও এই বাইক বেশ আরামদায়ক সুবিধা প্রদান করে। হাইওয়েতে রাইডের জন্য এটিকে একটি আদর্শ বাইক বলা যায়। কন্ট্রোল সিস্টেমে রয়েছে সমান সুবিধা।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
- ডাবল ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম
- সর্বোচ্চ শক্তি (হর্স পাওয়ার) – ১৫ পিএস
- জ্বালানী ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা -১৩.৭ লিটার
- মাইলেজ – ৪০ কিলোমিটার/লিটার (আনুমানিক)
সুবিধাসমূহ
- উচ্চ গতির সুবিধা দেয়
- হাই পারফর্মেন্স সহজেই পাওয়া যায়
- আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং আকৃতি
- অরেঞ্জ কালারের নতুন ডিজাইন দুটি খুবই আকর্ষণীয়
অসুবিধাসমূহ
- ছোট ফুয়েল ট্যাঙ্কে সীমিত মাইলেজ
- নতুনদের জন্য গতি নিয়ে ঝুঁকি থাকতে পারে
- ১২০ এর উপরে স্পিড তোলায় ঝামেলা দেখা দেয়
শেষকথা
কেটিএম সিরিজের বাইকগুলো বাইকারদের বরাবরই আনন্দ এবং রোমাঞ্চের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আপনার যদি সামনের দিনগুলোতে বাইক ক্রয় করার ইচ্ছে থাকে এই বাইকগুলো দেখে আসতে পারে।
শখের মোটরসাইকেলের সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন বাইকগার্ড জিপিএস ট্র্যাকার। ফিচার হিসাবে পাচ্ছেন ইঞ্জিন লক/আনলক করার সুবিধা, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেন্সিং, এবং ট্রাভেল হিস্টোরি চেক করা সহ আরও অনেক সুবিধা বিস্তারিত জানতে দেখুন বাইকগার্ড প্যাকেজ সমূহ অথবা চাইলে আমাদের এক্সপার্ট টিমের সহযোগিতা পেতে নিচের ফরমটি জমা দিতে পারেন।